চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিঃ (মিল্কভিটা)
শেখ নাদির হোসেন লিপু ১৯৬৫ সালের ২১ শে সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম শেখ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম খান সাহেব শেখ মোশারফ হোসেন, মাতার নাম মরহুমা সুফিয়া বেগম। তাঁর পিতা খান সাহেব শেখ মোশারফ হোসেন ছিলেন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চাচা। ১৯৪৬ সালে বৃটিশ সরকার সমাজহিতৈষী কাজের জন্য তাঁকে “খান সাহেব” উপাধি প্রদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন ও ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে গোপালগঞ্জ থেকে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক, যিনি পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য ছিলেন। খান সাহেব শেখ মোশারফ হোসেন সাহেবের ০৭ (সাত) ছেলে ও ০৪ (চার) মেয়ে। ০৭ (সাত) ভাইয়ের মধ্যে শেখ নাদির হোসেন লিপু ৬ষ্ঠ।
শৈশব থেকেই তিনি পিতা-মাতা ও ভাইবোনদের অপত্য স্নেহে বেড়ে উঠেন। টুঙ্গিপাড়ার অবারিত আকাশ, জল, মাঠ-ঘাটে তার শৈশবের দিনগুলি কেটে যায়। তিনি গোপালগঞ্জ শহরের নামকরা মডেল স্কুলে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। অত্যন্ত মেধাবী শেখ নাদির হোসেন লিপু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পলিটিক্যাল সায়েন্সে ডিগ্রী অর্জন করেন। ছোটবেলা থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনে দীক্ষিত হয়ে নেতৃত্ব প্রদানের অসাধারণ গুনাবলী তাঁর মধ্যে বিকশিত হতে থাকে। একটি সম্ভ্রান্ত এবং বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হিসেবে তার শৈশব-কৈশোর থেকেই পিতার পদাংক অনুসরণ করে সমবায় আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হন এবং সমবায় ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেন। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশে সমবায় আন্দোলন এক নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি হয়। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে গোপালগঞ্জের কৃষি সমবায় সমিতি লিমিটেড দেশের অন্যতম একটি সমবায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সগৌরবে দাড়িয়ে আছে। এছাড়াও তিনি সমবায়ীদের প্রতিষ্ঠান “ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন” এর সভাপতি পদে দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত নিরবচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সমবায় আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি জাতীয় সমবায় ব্যাংকের ভাইস-চেয়ারম্যান, গোপালগঞ্জ সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। সমবায় ছাড়াও তিনি আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। একজন বিদ্যানুরাগী ব্যক্তি হিসেবে অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা-মক্তব, এতিমখানা স্থাপনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে খান সাহেব শেখ মোশারফ হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ছিলেন ও খান সাহেব শেখ মোশারফ হোসেন স্কুল এন্ড কলেজ, টুঙ্গিপাড়া এর দাতা সদস্য , শেখ নাদির হোসেন লিপু শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং কুশলী খান সাহেব শেখ মোশারফ হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া তিনি একজন সমাজ সচেতন ব্যক্তি হিসেবে জনপ্রশাসন মাসিক পত্রিকার প্রধান পৃষ্ঠপোষক, জয়নাল আবেদিন স্মৃতি পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, শেখ রাসেল স্মৃতি সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা ও দাতা সদস্য, শেখ রাসেল বার্তা স্মরণিকার প্রধান উপদেষ্টা, ত্রিপল্লী যুব উন্নয়ন সংসদ এর প্রধান উপদেষ্টা ও দাতা সদস্য, আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতালের গভর্নিং বোর্ডের সদস্য পদে থেকে তাঁর মেধা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। জনাব শেখ নাদির হোসেন লিপু “খান সাহেব শেখ মোশারফ হোসেন ফাউন্ডেশন” এর প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থেকে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক ও ধর্মীয় কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছেন। বিগত ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ সমবায়ী প্রতিষ্ঠান মিল্ক ইউনিয়নের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সামাজিক ও কল্যাণমূলক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন ।
বিবাহিত জীবনে তিনি এক কন্যা ও দুই পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী সাবেরা সুলতানা ইডেন মহিলা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে এডভোকেট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি রুমি ফিস ফিড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর জ্যেষ্ঠ ও মেঝো পুত্র কানাডার টরন্টো মেট্রোপলিটান ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত এবং কনিষ্ঠ কন্যা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (ISD) তে “ও” লেভেলে অধ্যয়নরত।